সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বেশ কিছু প্রতারক, ভুয়া ইমিগ্রেশন অফিসারের তথ্য এসেছে সুপ্রভাত সিডনির অফিসে। ক্যাম্পসি ডিটেকটিভ পুলিশ ল্যান্স প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে একজন বাংলাদেশী মহিলাকে গ্রেপ্তার করে ব্যাঙ্কসটাউন আদালতে নিয়ে যান। দীর্ঘদিন শুনানির পর আদালত গত ২৯ নভেম্বর ২০২৪ রায় প্রদান করেন। অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশন করে দিবে বলে অনেকের থেকে অর্থ হাতিয়েছেন বলে
সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বেশ কিছু প্রতারক, ভুয়া ইমিগ্রেশন অফিসারের তথ্য এসেছে সুপ্রভাত সিডনির অফিসে। ক্যাম্পসি ডিটেকটিভ পুলিশ ল্যান্স প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে একজন বাংলাদেশী মহিলাকে গ্রেপ্তার করে ব্যাঙ্কসটাউন আদালতে নিয়ে যান। দীর্ঘদিন শুনানির পর আদালত গত ২৯ নভেম্বর ২০২৪ রায় প্রদান করেন। অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশন করে দিবে বলে অনেকের থেকে অর্থ হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে তবে মাত্র দু’জন এ পর্যন্ত ওই মহিলাকে আদালতে নিতে সক্ষম হন। বাংলাদেশী একজন উকিল তার মামলা নেবার পর শেষ অবধি তিনি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ছিলেন না । চূড়ান্ত শুনানির দিন উকিল অনুপস্থিত ছিলেন। অবশেষে ওই মহিলা তার দোষ স্বীকার করে নেন , আদালত একজনকে ২৩০০০ ডলার এবং অপরজনকে ১৯২৯০ ডলার ফেরত দেবার জন্য অফিসিয়ালি আদেশ প্রদান করেন।
ওই আসামিকে একটি কমিউনিটি সংশোধন আদেশ ২ বছরের (প্যারোল) মেয়াদের জন্য সাজা দেওয়া হয়েছে যা ২০২৬ সালের ২৮ নভেম্বর সমাপ্ত হবে যার জন্য তাকে প্রবেশন এবং প্যারোলের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। পাশাপাশি ৩৫০ ঘণ্টা কমিউনিটি সেবা এবং উভয় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একজন সুপ্রিম কোর্টের উকিল থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে তিনি দেশের প্রায় সব মিডিয়াগুলোতে বিস্তারিত রিপোর্ট বের হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী ভিসা দিয়ে নিয়ে যাবেন বলে অতি কৌশলে অনেকের থেকে লাখ লাখ টাকা তিনি হাতিয়েছেন বলেও দেশের অনেকগুলো মিডিয়া খবর প্রকাশ হয়েছে।
এ ধরনের প্রতারক একা নয়, তাদের বেশ কিছু দালাল আছে এবং তার দেয়া জবানবন্দিতে অনেকের নামও তিনি জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যেকোন সময় হয়তোবা ভুক্তভোগী বা প্রতারিত হয়েছেন এমন কেউ এগিয়ে আসলেই তাদের আসল রূপ বের হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে যেকোন তথ্য শেয়ার করতে ইমেইল করুন : suprovat.ceo@gmail.com
বি: দ্রঃ আদালত থেকে রায় হবার পর আইনগতভাবে ছবি বা নাম প্রকাশের কোন জটিলতা থাকেনা। শুধুমাত্র মহিলা আসামি দেখে তার ছবি ও নাম এড়িয়ে গেলাম। কে জানে, আগামীতে হয়তোবা বাটপাড়ি ছেড়ে ভালো মানুষের কাতারে এসে দাঁড়াতে পারে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে তার নাম, ছবি ও আদালতের রায় হুবহু ছেপে দিতে পারি।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *