728 x 90

ভারতের শিলংয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ

এম,এ ইউসুফ শামীম: ২০১৫ সালের উত্তাল সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য ১০ মার্চ রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৬১ দিন অজ্ঞাত স্থানে তাঁকে গুম করে রাখা হয়। ১০ মে চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি গাড়িতে করে তাঁকে দীর্ঘ পথযাত্রা

এম,এ ইউসুফ শামীম: ২০১৫ সালের উত্তাল সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য ১০ মার্চ রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৬১ দিন অজ্ঞাত স্থানে তাঁকে গুম করে রাখা হয়। ১০ মে চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি গাড়িতে করে তাঁকে দীর্ঘ পথযাত্রা করিয়ে ১১ মে ভোররাতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়। কিছুক্ষণ পর সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজেই চোখ খুলে স্থানীয় পথচারীদের সহায়তায় শিলং পুলিশের কাছে তাঁর পরিচয় এবং বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরেন। ভারতের পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ভারতীয় আদালত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সব সাক্ষ্য ও দলিল পর্যালোচনা করে তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভারত সরকার। আপিল আদালতও বিচারিক আদালতের বেকসুর খালাসের রায় ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তাঁকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ আট বছর ভারতের কারাগারে কাটাতে হয়েছে। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন সরকারের।

এ ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, সালাহউদ্দিন আহমেদকে মুক্ত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। ভারত সরকারকেও আহ্বান জানাচ্ছি, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে সসন্মানে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।”

গুমরানী মাফিয়া হাসিনা সরকারের বিয়াকুফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান  বলেন, “সালাহউদ্দিন সাহেব ভারতে ঘুরতে গেছেন। আবার উনি উনার মতো চলে আসবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। দেশে ফেরার ব্যাপারে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া আছে। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক দেশের বাইরে সাজাপ্রাপ্ত হলে সেই প্রক্রিয়া অনুসারে দেশে ফিরে আসবেন। সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য।”

সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতের আদালতে রায়ের কপি হাতে পেলেও কবে দেশে ফিরবেন তা এখনো নিশ্চিত নন বলে জানান-“রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। কবে ফিরব তা এখনো বলতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় সর্বশেষ রায়ের কপি পাঠানো হয়েছে।”

২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর শিলংয়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ডি জি খারসিং সালাহউদ্দিনকে আহমেদকে নির্দোষ বিবেচনায় মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। নিম্ন আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে সরকার আপিল করে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ের জাজেস কোর্ট আপিল নিষ্পত্তি করে তাঁকে সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ফেরার পর “যে কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে শতভাগ প্রস্তুত” আছেন বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদকে।ভারতের মানবাধিকারকর্মী কিরীটি রায়ের মতে, “বিদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।”

তবে বাংলাদেশে ফিরলে সালাউদ্দিন আহমেদকে হত্যার সম্ভবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। দেশে ফিরে মাফিয়া রানীর কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাক , এ ঝুঁকি নিশ্চই তারা নিবে না। তাই , সালাউদ্দিন আহমদকে খুব সতর্কতার সাথে এগুতে হবে। সম্প্রতি তিনি একটি প্রবাসী মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে অনেক তথ্য বিশ্ব বাসীকে অজিত করেছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সন্ত্রাসী প্রধান মন্ত্রীর গোপন অপরাজনীতির প্রসবে হচ্ছে এ ধরনের গুম, খুন। কারো খবর পাওয়া যাচ্ছে, কেউ বা চিরতবের লাপাত্তা। খুব শীঘ্র হয়তোবা এ ধরনের বিচার বহিঃর্ভুত সকল গুম ও হত্যার বিচার হবে।

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising