এম,এ , ইউসুফ শামীম,সুপ্রভাত সিডনি: ভুয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট অজুহাতে তথাকথিত অনিবন্ধিত নিউজ বন্ধের প্রক্রিয়া অগণতান্ত্রিক। সাংবাদিকদের টুটি চেপে কেউ বেশিদিন গদিতে থাকতে পারেনি। স্বৈরাচার হাসিনাও পারবেনা ইনশাল্লাহ। আমরা এ ধরনের হীন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের অবৈধ সরকার তথাকথিত অনিবন্ধিত ১৭৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করেছে । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ
এম,এ , ইউসুফ শামীম,সুপ্রভাত সিডনি: ভুয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট অজুহাতে তথাকথিত অনিবন্ধিত নিউজ বন্ধের প্রক্রিয়া অগণতান্ত্রিক। সাংবাদিকদের টুটি চেপে কেউ বেশিদিন গদিতে থাকতে পারেনি। স্বৈরাচার হাসিনাও পারবেনা ইনশাল্লাহ। আমরা এ ধরনের হীন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের অবৈধ সরকার তথাকথিত অনিবন্ধিত ১৭৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করেছে । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মিডিয়া গুলো বন্ধের অশুভ প্রক্রিয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বাকশালের পুনঃ প্রতিষ্টা বলে অনেকে মনে করেন।
বাতিল করা ১৭৮ অনলাইন মিডিয়ার মধ্যে প্রবাসে বেশ কিছু জনপ্রিয় গণমাধ্যম রয়েছে যারা আওয়ামী সরকারি তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনি (https://suprovatsydney.com.au/) বিগত প্রায় ১৬টি বছর নিরলস প্রচার করে যাচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রতিটি কাজ। সরকারের তীব্র সমালোচনা ও ইউটিউবে (https://www.youtube.com/@suprovatsydney6087) সুপ্রভাত সিডনি চ্যানেলে আওয়ামী কুলাঙ্গারদের কুকর্ম তুলে ধরার কারনে সুপ্রভাত সিডনির নামে “ডিজিট্যাল সিকিউরিটি এক্টের” আওত্তায় সরকার মামলা করেন। অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদকের নামে এ মামলা করা হয়। যার কারনে এক যুগেরও বেশি সময় পরিবার -পরিজন বিভিন্নভাবে প্রশাসন হেনস্থা করেছে। প্রধান সম্পাদক ও পরিবার বিগত একযুগেরও বেশি সময় নিজ দেশে ফেরা হয়নি। দেখা হয়নি মাতৃভূমিতে থাকা বন্ধু -বান্ধব, আত্মীয় -স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদেরকে।
জনগণ প্রবাসী আলোকিত সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করছে। প্রবাসেও আওয়ামী সরকারের মদদ পুস্ট হলুদ সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি। এরা কখনো সরকারের চুরি,গুম,হত্যা বা কোনো ধরনের দুর্নীতির সমালোচনা করে না, সকল অপকর্মকে এরা উন্নয়নের প্রলেপ দিতে ব্যস্ত। প্রবাসের এ ধরনের হলুদ সাংবাদিকদেরকে সাধারণ জনগণ ঘৃণ্যভরে প্রত্যাখ্যান করেন। দেশ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে অথচ ভারতীয় দালাল সাংবাদিকরা ধ্বংস না দেখে ধ্বংসকে বলে উন্নয়ন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ২০দিন আগে হাসিনা সরকার বিরোধী প্রচারণার অভিযোগে জনপ্রিয় ৫৮ অনলাইন নিউজ পোর্টালের বাংলাদেশ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। বন্ধের তালিকাতেও বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রকাশনা পরিবারের ২টি পোর্টাল ছিলো। তার পর থেকে আজ অবধি এসব নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কেউ পড়তে পারেন না।
জাহিলিয়াত যুগে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সেদিন সব কয়টি গনমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল।
তৎকালীন সময়য়ের আওয়ামী পন্থী হলুদ সাংবাদিকদের গনমাধ্যম ছাড়া বাকি সবগুলো গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয় নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য।
মত প্রকাশের নগ্ন হস্তক্ষেপ আওয়ামীলীগ সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার। গুম ,খুন.জালিয়াতি অর্থাৎ সকল দুর্নীতি যারা প্রকাশ করে সরকারের সমালোচনা করে -তাদেরকে টার্গেট করে এ সরকার। শুধু মাত্র আলোকিত,স্বাধীন সাংবাদিকদের কলমে পেরেক ঠুকে দিয়েছে-যা নাকি একটি বর্বর স্বৈরাচার সরকারের বৈশিষ্ঠ।
উল্লেখ্য ,সরকারে মদদপুষ্ট ভারতীয় দালাল সাংবাদিকরা অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগের সকল অপকর্ম ঢেকে উল্টো সকল অপকর্মকে উন্নয়ন উন্নয়ন বলে স্লোগান দিয়ে মুখে ফেনা তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ সাংবাদিক সব সময় সরকারের দুর্নীতি ঢেকে তৈল বাজিতে ব্যস্ত -যানাকি অপসাংবাদিকতা তথা সাংবাদিক নামের কলঙ্ক।
স্বৈরশাসনের আমলে মুজিবীয় কায়দায় সাংবাদিকদের টুটি আবারো চেপে ধরেছে ,যা অত্যন্ত ঘৃন্য। সুপ্রভাত সিডনি এ ধরণের ভুয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট অজুহাতে ১৭৮টি নিউজ পোর্টাল বন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। খুনি হাসিনার পলায়নের পর আমাদের মিডিয়া সম্প্রচারে আর কোনো বাধা থাকার কথা নয়। এ মুহূর্তে প্রবাসের প্রতিটি বাংলা গণমাধ্যমের উপর সকল মিথ্যা, ভুয়া , বানোয়াট অধ্যাদেশ তুলে নেবার জোর দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকারের মদদপুষ্ট সকল হলুদ সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বাতিল করার অনুরোধ করছি। বিগত ১৬ বছর যারা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করেছে,জনগণকে বিব্ভ্রান্ত করেছে, সকল দেশদ্রোহী হলুদ সংবাদিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। প্রবাসে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট সকল মিডিয়ার উপর থেকে মামলা তুলে নেবার জোর আবেদন জানাচ্ছি। সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে এ মুহূর্তে আইনের আওত্তায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা সময়ের দাবি।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *