সুপ্রভাত সিডনির আয়োজনে প্রফেসর আনিসুজ্জমানকে সংবর্ধনা, যোগ দেন প্রভাবশালী দুই অস্ট্রেলিয়ান সাংসদ

 

সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট : বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিশেষ সহকারী নিযুক্ত হওয়া উপলক্ষে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে সিডনিতে ৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলাভাষী কমিউনিটি পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনির উদ্যোগে সিডনির রকডেলে স্টার ফাংশন সেন্টারে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে প্রাঞ্জল ভাষায় তিলাওয়াত করেন ড. শাহ ফয়জুল্লাহ ,ইমাম রকডেল মসজিদ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট একাডেমিক, প্রকৌশলী, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অধ্যাপক, ডিন, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, ব্যবসায়ী, কমিউনিটির জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

কর্মজীবনে অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অধ্যাপনা করা ড. আনিসুজ্জামান বর্তমানে বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ করার জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন।

একই অনুষ্ঠানে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড বা মেট্রোরেলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কৃতি ফারুক আহমেদ প্রকৌশলীকেও  সংবর্ধনা দেয়া হয়। সাবেক সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্টার  ড. ফজলে রাব্বীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র, আর্টস , সাইবার নিরাপত্তা, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং সংসদ নেতা মাননীয় মন্ত্রী টনি বার্ক প্রধান অতিথি এবং ইমিগ্রেশন বিষয়ক উপমন্ত্রী ম্যাট থিসলোয়েইট বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মাননীয় মন্ত্রী টনি বার্ক বাংলাদেশ সফরকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গ্রাফিটি  দেখার এবং শহীদ মিনার দেখে আবেগাপ্লুত হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের যোগ্যতার মূল্যায়ন হওয়াকে একটি ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে দীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। তার সরকার অস্ট্রেলিয়ান ভিসা প্রসেসিং সেন্টারকে দ্রুততম সময়ে দিল্লী থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করেছে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে দুই দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহায়তার সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী মাননীয় মন্ত্রী টনি বার্ক সুপ্রভাত সিডনিকে উদ্দেশ্য করে বিশাল এক যুগোপযোগী মন্তব্য করেন , মাল্টিকালচারাল অস্ট্রেলিয়ায় অন্যান্য আরো অনেক ভাষার মতো বাংলা ভাষাতেও একটি পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে সুপ্রভাত সিডনি অবদান রেখে চলেছে। এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এজন্য যখন আব্দুল্লাহ (প্রধান সম্পাদক -সুপ্রভাত সিডনি) আমাকে আমন্ত্রণ করে -আমি ছুটে যাই। এই পত্রিকাটি বাংলাদেশী বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে বাংলা ভাষা চর্চার এক চমৎকার সুযোগ এনে দিয়েছে।

 

উপমন্ত্রী ম্যাট থিসলোয়েইট বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানকে তিনি সবসময় ইতিবাচক একটি দিক হিসেবে পেয়েছেন। তিনি রাষ্ট্র হিসেবে নতুন বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জ্ঞাপন করেন।

অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা “সুপ্রভাত সিডনি”-এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম এক অনবদ্য ও ঐতিহাসিক প্রয়াসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন ঢাকায় পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ শুরু হয় এবং তা বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হয়।

এই প্রেক্ষাপটে তিনি মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের ঢাকায় পুনঃস্থাপনের এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কয়েকজন ব্যক্তিত্বকে। তাঁরা হলেন: শাহজাহান পাটোয়ারী (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী), ইব্রাহিম খলিল মাসুদ (সাবেক ডেপুটি মেয়র, ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিল এবং বর্তমান কাউন্সিলর), এ এন এম মাসুম (মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপক ও সাবেক স্টেট এমপি পদপ্রার্থী, গ্রানভিল, সিডনি), ইকবাল চৌধুরী (সহ-সভাপতি, কমিউনিটি ইয়ুথ অ্যান্ড সিটিজেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন)। তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে, এই দলটি সম্মানিত ইমিগ্রেশন বিষয়ক উপমন্ত্রী ম্যাট থিসলোয়েট-এর অফিসে সাক্ষাৎ করে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের ঢাকায় পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। উপমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ১৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী পেনি ওং-এর নিকট প্রস্তাবটি সুপারিশ করেন।

 

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র, শিল্প, সাইবার নিরাপত্তা, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী এবং সংসদ নেতা মাননীয় টনি বার্কের কাছে একটি অনুরোধপত্র সরাসরি হস্তান্তর করেন সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক ।

 

এরই ধারাবাহিকতায়, অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র, শিল্প, সাইবার নিরাপত্তা, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী এবং পার্লামেন্ট নেতা মাননীয় টনি বার্ক ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সফর করে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এরপর ২৬ জুন ২০২৪ তারিখে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং-এর দপ্তর থেকে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ঘোষণা পত্র পাওয়া যায় ।

এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জনের পর, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে, “সুপ্রভাত সিডনি”-এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম ইমেইলের মাধ্যমে উল্লিখিত দুই সম্মানিত সাংসদকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সকল বাংলাদেশির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত সকল গুণী ব্যক্তিত্বকে জানাই প্রাণঢালা শুভকামনা ও অভিনন্দন। এই অর্জন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

ড. আনিসুজ্জামামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত যত মানুষ আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যত মানুষ বাংলাদেশে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের সবার অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণে করে বলেন বাংলাদেশের এখন বিকশিত হওয়ার একটি সুযোগ এসেছে। আমরা সবাই মিলে সচেষ্ট হলে হয়তো এই পরিবর্তন একটি নতুন এবং সমৃদ্ধিময় ভবিষ্যতের সূচনা করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সমস্যাবলি তুলে ধরলেন তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি ফারদিন আলম ।অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন এই প্রজন্মে বেড়ে ওঠা কমিউনিটি তরুণ নেতা ফারদিন আলম। সময় স্বল্পতার কারণে চার পৃষ্ঠার পূর্ণ বিবরণ উপস্থাপন সম্ভব না হলেও, গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাবির সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয় সুপ্রভাত সিডনির অফিসিয়াল লেটারহেডে।

প্রবাসীদের পক্ষে উপস্থাপিত প্রধান দাবিসমূহ:

  • প্যারেন্ট ভিসা ও পারিবারিক পুনর্মিলন:

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকরা কীভাবে তাদের বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করতে পারেন—সেই প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার অনুরোধ জানানো হয়।

 

 

  • ভাই-বোনদের পুনর্মিলন:

পিতামাতার পর ভাইবোনদেরও স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

  • দীর্ঘমেয়াদি অননুমোদিত প্রবাসীদের বৈধতা প্রদান:

যারা বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এবং সমাজে অবদান রাখছেন—তাদের বৈধতার সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়।

 

 

  • মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন:

এ পদক্ষেপকে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সকল ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

  • বিদেশে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য সেন্টারলিংক সুবিধা:

অবসরে থাকা বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকরা যেন বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে সেন্টারলিংক ভাতা পেতে পারেন—সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

  • বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ ও স্বচ্ছ স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া:

ভিসা প্রক্রিয়াকে সহজ, ন্যায্য ও স্বচ্ছ করার আহ্বান জানানো হয় যাতে অপেক্ষার সময় কমে এবং প্রকৃত শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, স্টাডি পরবর্তী কাজের সুযোগ এবং বৃত্তি ও টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা করতেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের আহ্বান জানানো হয়।

 

  • Working Holiday Visa (WHV) প্রোগ্রাম পুনঃস্থাপন:

বাংলাদেশের তরুণদের জন্য সাংস্কৃতিক বিনিময় ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে WHV ৪৬২ সাবক্লাস চালুর অনুরোধ জানানো হয়।

  • বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা বৃদ্ধি:

অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার পাশাপাশি, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়।

  • মূল প্রবৃদ্ধি খাতে বিনিয়োগ:

অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগ উৎসাহিত করার পাশাপাশি, প্রযুক্তি ও স্টার্ট-আপ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।

  • প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিনিময়:

গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া, বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য TAFE প্রতিষ্ঠানের সহায়তার আহ্বান জানানো হয়।

  • উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সফর:

উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর উৎসাহিত করার পাশাপাশি, আঞ্চলিক সংস্থা যেমন ASEAN ও BIMSTEC-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে সমর্থনের অনুরোধ করা হয়।

এই সব দাবিদাওয়া প্রিন্ট আকারে মাননীয় মন্ত্রী টনি বার্ক-এর হাতে তুলে দেন সুপ্রভাত সিডনি-এর প্রধান সম্পাদক। তিনি লিখিতভাবে আবেদনটি পেশ করে উপস্থিত সকল অতিথিদের সামনে বিনীতভাবে এই বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বরাবর তিন পাতার একটি দাবী -দাওয়া তুলে দেয়া হয়  এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর হাতে। কম্যুনিটি ইয়ুথ সিটিজেন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের লেটারহেডে একটি তিন পাতার লিখিত দাবি হাতে তুলে দেয়া হয় প্রবাসী বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষ থেকে।

দাবিগুলোর কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :

* কূটনৈতিক মিশনের পরিষেবা উন্নয়ন

* দূতাবাসের কর্মী নিয়োগ এবং পেশাগত মান বাড়ানো

*  দূতাবাসগুলো অরাজনৈতিকীকরণ

* রেমিট্যান্সের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী ব্যাংকিং সুবিধা

* বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করন

* জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ড প্রোগ্রাম চালু করা,

* প্রবাসীদের জন্য সংসদীয় আসন বরাদ্দ করুন

* বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ যারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে কর্মরত এবং বসবাস করছেন এবং অভিজ্ঞতা এবং প্রথম বিশ্বের জ্ঞানের অধিকারী

* বর্তমান কঠিন সময়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে তাদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান অবদান রাখতে চান এবং বিশেষ করে ভারতীয় কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে চান।

* এই বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে কর্মরত এবং বসবাস করছেন যেখানে

কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবেশ নেই এবং বাংলাদেশে তাদের সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে।

* এই বিশেষজ্ঞরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করতে সক্ষম এবং মিশন সম্পন্ন হওয়ার পরে

তারা যেখানে থাকেন সেখানে তাদের বিদেশে ফিরে যেতে পারেন।

* প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সহ তাদের স্বার্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলিতে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করুন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদেরকে সুপ্রভাত সিডনি, বাংলাদেশী সিনিয়র সিটিজেন অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশ এন্ড অস্ট্রেলিয়া ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল,  সিডনি সাউথ শাপলা শালুক লায়ন্স ক্লাব এবং কমিউনিটি ইয়ুথ এন্ড সিটিজেন ডেভেলপমেন্ট ইনকরপোরেটেড সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট এবং এপ্রিসিয়েশন সার্টিফিকেট উপহার দেয়া হয়।

এছাড়াও, দারুসসালাম সিমেট্রি প্রজেক্ট ও দ্য গ্লোবাল এডুকেশন হাব-কে তাঁদের সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আব্দুর রহমান খান সুপ্রভাত সিডনির একজন নিবেদিতপ্রাণ শুভানুধ্যায়ী, যিনি সমাজকল্যাণমূলক যেকোনো উদ্যোগে আন্তরিকভাবে সম্পৃক্ত থেকে নিরলস সহযোগিতা করে আসছেন।

আরেকজন অন্যতম হিতাকাঙ্ক্ষী, বিএমএস অফ এনএসডব্লিউ এর অন্যতম প্রতিষ্টাতা,বেনেভোলেন্ট ফান্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান,শাপলা  শালুক  লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি, শাপলা শালুক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ মইনুল ইসলাম। উল্লেখ্য ,শাপলা লায়ন্স ক্লাব অস্ট্রেলিয়াতে একমাত্র বাংলাদেশী লায়ন্স ক্লাব।

দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রভাত সিডনির বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে উদারচিত্তে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। উপরোক্ত দুইজনের প্রতি সুপ্রভাত সিডনির পক্ষ থেকে রইলো আন্তরিক শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।

সুপ্রভাত সিডনির এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যাঁরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের প্রতি সুপ্রভাত সিডনি মিডিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

এই নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন— ড. ফজলে রাব্বি (প্রধান উপস্থাপক),সহযোগী উপস্থাপক প্রফেসর শফিকুর রহমান, এ. এন. এম. মাসুম (হলরুম ব্যবস্থাপনা), এবং অভ্যর্থনা টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মিসেস শারমিন, জাফরিন, মিথিলা, অনিক, নাসির আহমেদ, বাচ্চু সহ আরও অনেকে। তাঁদের নিষ্ঠা, শ্রম ও আন্তরিক সহযোগিতার জন্য আমাদের হৃদয়ভরা ধন্যবাদ।

এছাড়াও ছিলেন এ এন এম মাসুম (হলরুম ম্যানেজমেন্ট), অভ্যর্থনায় ছিলেন মিসেস শারমিন ও জাফরিন, অনিক, নাসির আহমেদ, বাচ্চু প্রমুখ। লাইভ ভিডিওতে ছিলেন ওহিদ ইসলাম ।

অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের জন্য সৌজন্যমূলক রাতের খাবার দ্বারা আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। স্টার বিরিয়ানির রকডেলে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথিরা খাবারের প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। সিডনির সুপরিচিত ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী রন্ধনশিল্পী সেতু এখন স্টার বিরিয়ানিতে নিষ্ঠার সাথে রান্নায় নিয়োজিত। পরিবেশিত প্রতিটি বাফেট আইটেমের মান ও স্বাদ ছিল সত্যিই অনবদ্য।

রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী মনজুরুল আলম বুলু নিজে অতিথিদের যত্নবান পরিবেশনের তত্ত্বাবধান করেন। দক্ষ ওয়েটার দিয়ে ভিআইপি টেবিলগুলোতে খাবার পরিবেশন করানো ছাড়াও, তিনি নিজে টেবিলে গিয়ে অতিথিদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

 

পরিপাটি ও সুসজ্জিত ফাংশন হলরুমে পরিবেশিত বাহারি ও সুস্বাদু খাবার অনুষ্ঠানটিকে এক অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *