এম,এ,ইউসুফ : পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৪০ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানিকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের কারণে জীবন রক্ষায় তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। দুই দেশে থাকার কোনো অবস্থা নেই। সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তাইতো জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পথে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমিয়েছে। আটক
এম,এ,ইউসুফ : পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৪০ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানিকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের কারণে জীবন রক্ষায় তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। দুই দেশে থাকার কোনো অবস্থা নেই। সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তাইতো জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পথে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমিয়েছে।
আটক এক যুবক জানান, ৪০ জন ইন্দোনেশিয়া থেকে নৌকায় করে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করছিলেন। পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশিকে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ব্রুমের ১০০ কিলোমিটার উত্তরে বিগল বে এলাকার সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়। বিগল বে আদিবাসী অর্থাৎ এব্রোজিনাল সম্প্রদায় অধ্যুষিত অঞ্চল। তারা লোকালয়ে ঢুকে জনগণের কাছে পানি চায়। জনগণ পানি ইত্যাদি দিয়ে আপ্পায়ন করে জানতে চায়, কিভাবে এসেছে, কোথা থেকে এসেছে। তারপর জনগণ পুলিশ খবর দিলে পুরো ব্যাপারটি মিডিয়ার সামনে চলে আসে। অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের তথন পর্যন্ত জানাই ছিলোনা যে, বাংলাদেশী ও পাকিস্তানী অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকেছে দুই দেশের ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে জীবন রক্ষার্থে।
আটক একজন বলেছেন যে তারা ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি নৌকায় আসেন। পাঁচ দিন সেটিতে ছিলেন। তারপর অস্ট্রেলিয়ার একটি দূরবর্তী সৈকত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার হেঁটে এসেছেন। স্থানীয় জনসাধারণ আশ্চর্য হয়েছেন, কারন ওই এলাকায় কুমির ও সাপের প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তারা হেটে পাড়ি দিলো এতোটা পথ। নৌকায় এভাবে আসার খবর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
বিরোধী নেতা পিটার সুযোগ পেয়েই বলেছেন, “এই সরকার আমাদের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।দুর্বল সরকার হলে যা হয়।” শিশু সুলভ এ ধরনের আচরণে জাতি আজ হতাশ। কেন এসেছে , তাদেরকে নিয়ে কি করতে হবে সেগুলো না বলে প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপিয়ে দায় সারা গোছের বক্তব্য দিয়ে তিনি খালাস। যদিও পিটার ব্যক্তিগত ভাবে চরম বর্নবাদী। সে হয়তো ভুলে গিয়েছে যে, তার ১৪ পুরুষ এক সময় ইউরোপ থেকে একইভাবে নৌকায় করে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিল।
অস্ট্রেলিয়র প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেতা এ ধরনের একটি নাজুক পরিস্থিতিতে কোনো পরামর্শ না দিয়ে এ ধরনের দায়িত্ত্বহীন বক্তব্যে জাতি আজ হতাশ।
নৌকায় করে আসা লোকদের অফশোর ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টার নাউরুতে পাঠানো হয়,সেখানে অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে এ নিয়ে ভীষণ বাক -যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যা এবিসি রেডিও লাইভ করে গোটা বিশ্ব বাসীকে শুনিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বৈরশাষক একই সুতোয় গাঁথা। দুই দেশে থাকার কোনো অবস্থা নেই। সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তাইতো জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পথে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমিয়েছে।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *