সেনাবাহিনীতে যোগদানের ভূমিকা
প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি উদ্দেশ্য থাকে। আমারও স্বপ্ন ছিল বুয়েটে ভর্তি হবো এবং ইঞ্জিনিয়ার হবো। কিন্তু সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে অগত্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি পাস কোর্সে ভর্তি হলাম। হলে সিটের স্বল্পতা ও নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বিএসসি পড়াশুনা চালাতে লাগলাম। আর রেজাল্টও সে রকমই হলো অর্থাৎ থার্ড ডিভিশনে বিএসসি। বাবার ভর্ৎসনা মনটাকে ব্যথা—ভারাক্রান্ত করে তোলে। তাই এমএসসি পড়ার ইচ্ছা পরিত্যাগ করে নানি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই। সম্পর্কে গ্রাম্য নানা আমাকে অনুরোধ করেন আমি যেন স্থানীয় হাই স্কুলে শিক্ষকতা করি। কথাটি শুনে আমি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। স্কুলের সেক্রেটারি বরাবর দরখাস্ত লিখে স্কুলে শিক্ষকতায় যোগদান করলাম। ঐ সময়ে গ্রামের স্কুলে বিএসসি শিক্ষক পাওয়া দুর্লভ ছিল। আমি অত্যাধিক খুশি হলাম এজন্য যে, আমি রোজগার করছি।
১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত—পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলো। নজরুলের দেশাত্মবোধক ও ইসলামিক গান শুনে শুনে এমনিতেই আমার রক্ত গরম ছিল, কারণ আমি মুসলমান। ১৭ দিনেই যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। রেডিওতে শুনতে পেলাম পাকিস্তান আর্মিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে লোক নেবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ইন্টারমিডিয়েট পাস (বর্তমানে এইচএসসি)। প্রথম দিকে তেমন আগ্রহ ছিল না, কারণ স্কুল ও প্রাইভেট টিউশনিতে ৫০০ টাকার মতো রোজগার হচ্ছিল। আমার বড়ো মামা তখন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কর্মরত। তার চিঠি পেয়ে গুরুত্ব বুঝলাম। এতদিনে ৫টি শর্ট কোর্স সিলেকশন হয়ে গেছে। যথারীতি আই. এস. এস. বি (ইন্টার সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড) দিয়ে ষষ্ঠ শর্ট কোর্সে সিলেক্ট হলাম। আই. এস. এস. বি.—তে আমাদের গ্রুপে একাত্তর জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন টিকলাম। পরবর্তীতে আরও নেওয়া হয়েছিল। আমাদের কোর্সে আমরা ২১ জন বাঙালি ছিলাম। স্কুল কতৃর্পক্ষকে কোনোভাবে আমার আর্মিতে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে দেইনি। শুধু স্থানীয় পোস্ট মাস্টারকে বলেছিলাম আমার কোনো চিঠি আর্মি থেকে আসলে তিনি যেন ব্যক্তিগতভাবে সে চিঠি আমার হাতে দেন। তিনি মামাদের গ্রামেই থাকতেন এবং তাকে আমি নানার মতো মনে করতাম। তার দুটি ছেলেও স্কুলে পড়ত। তাদের ব্যাপারে বেশি নজর রাখতাম যদিও তাদেরকে আমি সরাসরি পড়াতাম না, নিচের ক্লাসে পড়ত। ছেলে দুটো খুবই মেধাবী ছিল। পরবর্তীতে তারা সরকারের উচ্চপদে চাকরি করতো বলে শুনেছি। আমি ৮ দিনের মধ্যে চিঠি পেলাম যে, ১৯৬৬ সালের মে মাসের ১৬ তারিখের মধ্যে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে (পি. এম. এ. কাকুল) হাজির হতে হবে। এত বড়ো খুশির খবর খুব বেশিদিন গোপন করতে পারিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্কও ছিল না। অন্য গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকগণও প্রধান শিক্ষকের প্রতি খুশি ছিলেন না। চাকরির টানে সবই সহ্য করতেন। আর আমার কাছে তাদের দুঃখের কথা বলতেন। প্রধান শিক্ষক ছাড়া অন্য সব শিক্ষকই আমার আর্মিতে সিলেকশন হওয়াতে খুবই খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে স্কুল না ছাড়তে অনুরোধ করেন। তবে ১৯৬৬ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে আমি স্কুল কতৃর্পক্ষকে জানিয়ে দেই যে, এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে আমি স্কুলে আসব না। এর মধ্যে স্কুলের বাই লেটারাল হওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (ডিপিআই) অফিস থেকে সরেজমিন স্কুলের অবস্থা জানার জন্য উচ্চপদস্থ কোনো কর্মকর্তা আসবেন বলে স্থির হয়েছিল। স্কুলে কোনো বিজ্ঞানের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক না থাকায় কতৃর্পক্ষ বিপাকে পড়েন। তারা ধারণা করেন যে, ব্যাপারটা স্কুলের বিপক্ষে যাবে। স্কুল কমিটির অনুরোধে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আমি থাকতে রাজি হলাম। তাছাড়া স্কুল আমার এলাকার বলে স্কুলের উন্নতি হোক এটা আমিও চাইতাম। যথারীতি স্কুলের পরিদর্শন হয়ে গেল। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের জুলাই থেকে স্কুল বাই লেটারাল হাই স্কুলে উন্নীত হয়েছে বলে শুনেছি।
পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান
মিলিটারি একাডেমিতে যোগদানের পূর্বে আমি কখনও বিমানে উঠিনি, বিমানে ঢাকা থেকে লাহোরে পেঁৗছলাম। আমার স্কুল জীবনের একজন শিক্ষক, মাহমুদ আলী খান (টুলু স্যার) আমার বাবার ছাত্র, অ্যাকাউন্টস সার্ভিস অফ পাকিস্তান, লাহোরে কর্মরত ছিলেন, তার কাছ থেকে পশ্চিম পাকিস্তান সম্পর্কে বিশেষ করে কীভাবে লাহোর থেকে অ্যাবোটাবাদ যাব তা জেনে নিলাম। লাহোর থেকে অ্যাবোটাবাদ বাসে গিয়েছিলাম।

রাওয়ালপিন্ডির পর থেকেই ছোটো ছোটো পাহাড় দেখতে পেলাম। হাজারা জেলা পার হওয়ার পরই অ্যাবোটাবাদ জেলা শুরু হয়। বেশ বড়ো বড়ো পাহাড়। পাহাড়ের গা ঘেঁষে রাস্তা গিয়েছে এবং কোনো কোনো জায়গায় ইউটার্নও (ঐধরৎ পষরঢ় নবহফ) নিতে হয়েছিল। পাহাড়ের গা ঘেঁষে বাসে করে নিরাপদে অ্যাবোটাবাদ পেঁৗছলাম। মিলিটারি ট্রাকে করে আমাদের কাকুল নেওয়া হলো। কল আপ লেটারে লেখা ছিল আমি ৩৮তম লং কোর্সে যোগ দেবো। সিলেকশনে ছিলাম ষষ্ঠ ওয়ার শর্ট কোর্সে। ভালো করে বুঝতে পারিনি বলে মন খারাপ হয়েছিল। ৬ মাসের বদলে ২ বছরের ট্রেনিং করতে হবে। যথারীতি আমাদের রিপোর্টিং হয়ে গেল। কিছু ক্যাডেটকে টোবা ক্যাম্প যেখানে শর্ট কোর্স ট্রেনিং হয় সেখানে যাওয়ার জন্য লাইন আপ করা হলো। আমাদেরকে অন্য লাইনে দাঁড় করানো হলো। হঠাৎ দেখি কিছু ইউনিফর্ম পরিহিত সিনিয়র ক্যাডেট হন্যে হয়ে আমাদের একেক জনকে টেনে বের করে ইংরেজিতে গালাগাল শুরু করল। তার মধ্যে ৪ অক্ষরের ইংরেজি শব্দটি (এফ. ইউ. সি. কে) বেশি ব্যবহার হচ্ছিল। যার সাথে ই.আর.আই.এন.জি যোগ করে আরও দুর্গন্ধময় করে তুলছিল।
আমি হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। হুঁশ হলো যখন একজন সিনিয়র ক্যাডেট আমাকে বলল, “হোয়াট আর ইউ ডুয়িং, ইউ ইডিয়েট, লাই অন ইউর বেলী।” না মানার কোনো উপায় ছিল না। এদিকে সবাই এ রকম কিছু না কিছু করছে। মোটা দেহী বন্ধু আওলাদ হোসেন একটি মিনি ট্রাকের নিচ দিয়ে ক্রল করতে গিয়ে আটকে গেল ‘ডিফারেন্সিয়াল হাব—এ’ না সামনে যেতে পারে, না পিছনে। সিনিয়র ক্যাডেট তাকে পিছন থেকে নূড়ি পাথর দিয়ে আঘাত করছে। হঠাৎ করে ইউনিভার্সিটি লাইফের ক্লাসমেট সিনিয়র ক্যাডেটের সাথে দেখা। তাকে নাম ধরে ডাকার সাথে সাথে হুঙ্কার দিয়ে বলল “ইউ ইডিয়েট ংধু ংরৎ।” বুঝলাম এখানে পূর্ব পরিচিতি বা বন্ধুত্ব কোনো কাজে আসবে না। সে বলল, তোর রুম নম্বর কত। রিপোটিং—এর সময় বলে দিয়েছিল কাসিম কোম্পানি রুম ৪২। স্যার না বলাতে আবার হুঙ্কার, বুঝে আসছিল না কেন এমন হচ্ছে। সে বলল, ফলো মি.। আমি তার সাথে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে তার থেকে জুনিয়র একজন ক্যাডেট তাকে সম্বোধন করে বলল, স্যার, আসসালামু আলাইকুম, ইজ হি উইথ ইউ? ইয়েস। আমাকে নিয়ে ৪২ নম্বর রুমের কাছে যেতেই এক সিভিলিয়ান নাম আব্দুর রহিম, আমাকে দেখে বললেন “আসসালামু আলাইকুম সাব।” “ম্যায় আপ কা দেখভাল করণে কী লিয়ে মোকারর হুয়া হায়।” অর্থ— আমি আপনার দেখাশুনার জন্য নিযুক্ত হয়েছি। আগেই বন্ধুবর শহুদুল হক (বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি) যিনি সারগোদা ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনা করতেন এবং আমাদের সঙ্গে আই এস এস বি দিয়ে পিএমএ ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। তার কাছ থেকে পিএমএ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পেরেছিলাম। তার মধ্যে একটি হলো আব্দুর রহিমের মতো কেউ আমার ছোটোখাটো ব্যাপারে সাহায্য করবে এবং আমার আউটফিট, ইউনিফর্ম, বিছানাপত্র ঠিকঠাক করে দেবে। একটু ধারণা পেয়েছিলাম যে, সিনিয়র ক্যাডেটরা জুনিয়র ক্যাডেটকে বুলশিট করে। শব্দটি তখন বুঝিনি। বন্ধুবর কামরায় ঢুকে বুক জড়িয়ে বলল ‘দোস্ত মনে কিছু নিস না, পিএমএ এ রকমই’। আমি কান্না থামাতে পারছিলাম না। চার—পাঁচ মিনিট লেগেছিল নিজেকে স্থির করতে। সে অনেক উপদেশ দিয়ে গেল, যা পরবর্তীতে অনেক কাজে লেগেছে। আব্দুর রহিম জিজ্ঞেস করলেন, আমি কিছু খেয়েছি কি না? আমি বললাম, না। আমাকে বললেন, কামরাতে থাকবেন তবে দরজায় খটখট শব্দ করলে যেন জবাব না দেই বা দরজা না খুলি।
তিনি চলে গেলেন এবং ২০/২৫ মিনিট পরে আবার আসলেন। এর মধ্যে ৩/৪ জন এসে দরজা খটখট করে ইডিয়েট বলে চলে গেছে। উপদেশ মতো আমি চুপ করে ঘরের বাতি নিভিয়ে বসেছিলাম। তিন তলার জানালা থেকে উঁকি মেরে নিচে দেখি তাণ্ডবলীলা চলছে। কাদার মধ্যে সুট পরিহিত আমার মতো জুনিয়র ক্যাডেটগণ ফ্রন্ট রোল, ক্রলিং, ফ্রগ জাম্প ইত্যাদি করে চলেছে। এ ইংরেজি শব্দগুলোর সঠিক বাংলা আমার আয়ত্তে ছিল না। আব্দুর রহিম আমার জন্য আপেল, আঙ্গুর, বাদাম নিয়ে আসলেন এবং বললেন, খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো এবং সকালবেলা আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেবে। ঘণ্টাখানেক পরে দরজায় খটখট শব্দ শুনলেও আমি কোনো জবাব দেইনি। কয়েক মিনিট পরে আবার দরজায় খটখটানি এবং বললেন “সাবজি ম্যয় আব্দুর রহিম।” তাড়াতাড়ি উঠে দরজা খুলে দিলাম। আমার চোখে কিন্তু কোনো ঘুম ছিল না। পুরো ব্যাপারটা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। সাথে করুণ অবস্থায় একজন ঢুকল, আমাকে দেখেই অ্যাটেনশন হয়ে বলল, আসসালামু আলাইকুম স্যার। চেহারা দেখে বাঙালি মনে না হলেও ইংরেজি বলার ধরন দেখে বুঝলাম তিনিও আমার মতো বাঙালি ও জুনিয়র ক্যাডেট। আমি তাকে আই. এস. এস. বি. বা একাডেমিতে স্বল্পসময়ের ঘুরপাকের মধ্যেও দেখিনি। তিনি ছিলেন মোহাম্মদ সাদেক হোসেন। পরবর্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাদেক হোসেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন।

লেখক পরিচিতি : এ বি এম আব্দুল মান্নান ১৯৪৪ সালের ২ অক্টোবর ঢাকা জেলার দোহার থানার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামে, তাঁর নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল কেটেছে সেখানেই। তাঁর বাবা, মরহুম আলহাজ্ব মৌলভী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার ৯, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ইউনিয়নের কাজী ছিলেন এবং পাশাপাশি গালিমপুর রহমানিয়া হাই স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর (ডা.) এম. জালাল উদ্দিন এবং BIWT এর প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (মেরিন) আলাউদ্দিন আহমেদের ভাগ্নে।
আব্দুল মান্নান ১৯৬০ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক এবং ১৯৬২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। একই বছর তিনি পিতার সঙ্গে হজ পালন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করে দোহার থানার মালিকান্দা মেঘুলা হাই স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন।
১৯৬৬ সালের ১৬ মে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩৮তম লং কোর্সে যোগ দেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৯ সালে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের অমর কোট (সম্রাট আকবরের জন্মস্থান) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে গোপনে সরে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং পুনরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
লেখক দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন, যার একটি অংশ কাটে নিউজিল্যান্ডে। বর্তমানে তিনি সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন।