সুপ্রভাত সিডনি : সম্প্রতি বাংলাদেশের একশ্রেণীর অসৎ মেয়েরা প্রবাসী ছেলেদেরকে অনলাইনে বিয়ের ফাঁদে ফেলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন প্রেমের নাটক করে। সুযোগ বুঝে প্রবাসী ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এ ধরনের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ ইদানীং সুপ্রভাত সিডনির অফিসে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন নামে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করে
সুপ্রভাত সিডনি : সম্প্রতি বাংলাদেশের একশ্রেণীর অসৎ মেয়েরা প্রবাসী ছেলেদেরকে অনলাইনে বিয়ের ফাঁদে ফেলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন প্রেমের নাটক করে। সুযোগ বুঝে প্রবাসী ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এ ধরনের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ ইদানীং সুপ্রভাত সিডনির অফিসে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন নামে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ডায়ালগ দিয়ে প্রবাসীদেরকে আকর্ষণ করে। বিভিন্ন স্টাইলের প্রোফাইল পিকচার দিয়ে প্রবাসীদেরকে আকর্ষণ করাও ছিল তাদের টার্গেট।
অনেক সময় দেখা গিয়েছে, মেয়ের বাবা -মা বিয়েতে রাজি হয়না। যেহেতু আজকালকার মেয়েরা অনেক স্মার্ট, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা ম-বাবাকে পাত্তাই দেয়না -মনে করে-মা বাবা হচ্ছে সেকেলের। মা বাবাকে বুজিয়ে শুনিয়ে কোনো ভাবে রাজি করে ফেলে। দু’চারজন আত্মীয় -স্বজনদের উপস্থিতিতে বিয়েও হয়ে যায়। বিয়ের পর যেহেতু সাথে সাথে নব বধূকে প্রবাসে নিয়ে যেতে পারেনা, ভরন পোষণ বাবত খরচ ইত্যাদি দিতে হয় -এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় দেখা গেছে -নববধূ আরেকজনের প্রেমে হবু ডুবু খাচ্ছে। প্রবাস থেকে জামাই ফিরত যেয়ে দেখে -নব বধূও নেই, স্বর্ণালঙ্কারও নেই। সব নিয়ে আরেকজনের সাথে উধাও। ছেলের থেকে জোর করে কাবিনের বাকি টাকাও হাতিয়ে নেয় মেয়ের বাবা-মা।
অনেক সময় দেখা গেছে, মেয়ের অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে, বাবা-মা একরকম জোর করে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। মেয়ে বিয়ের দু-একদিনের ভিতর ছেলের বিশেষ সমস্যা আছে বলে ছেলেকে ডিভোর্স দিবে -চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। যেহেতু বর্তমান ছেলে মেয়েদের উপর বেশিরভাগ মা-বাবার কোনো দখল নেই, তাই বেশিরভাগ সময় মেয়েই ছেলেকে ত্যাগ করে নোটিশ পাঠায়-যদিও ইসলামী শরীয়তের নিয়মে মেয়েদের ডিভোর্স দেবার কোনো বিধান নেই। কার কথা কে শুনে -যেহেতু মেয়ে লাফাঙ্গা, ইসলামের ধারে কাছেও যে মেয়ে নেই, সে মেয়ে ইসলামী রীতি নীতি কিভাবে মানবে ? ছেলের নাম মিথ্যা অভিযোগের আঙ্গুলের তোলা মেয়েটি দেখা গেছে , তার পুরাতন বই ফ্রেন্ডকে নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মেয়েই অস্ট্রেলিয়ার ছেলে পছন্দ। বিয়ের পর দেখা যায় মেয়ের আগের প্রেম উথলে উঠে। মেয়ে দু’য়েক দিনেই হাপিয়ে উঠে, জামাইয়ের দোষ খুঁজতে থাকে পরিবার নিয়ে। এক সময় ইসলামের রীতি নীতির তোয়াক্কা না করে নব বধূ বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ জারি করে বসে। সাত পুরুষের ভিতর যেহেতু ওই নব বধূ একমাত্র পড়াশুনা করেছে, পিত মাতা মেয়ের সকল অন্যায় আবদার মুখ বুজে সহ্য করে এবং সকল অন্যায় নীরবে সমর্থন করেন। মেয়ের সাথে গোটা এলাকার ছেলেরা টাঙ্কি মারে, আজ এর সাথে তো কাল ওর সাথে ডেটিং করে বেড়ায়, বাবা মায়ের কোনো খবর নাই। তাদের একমাত্র শিক্ষিত মেয়েকে তারা অন্ধের মতো সাপোর্ট করে। একের পর এক বিভিন্ন ধরনের ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
আবার দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ছেলে মেয়ে সেজে প্রেমের ভান করে। কয়েকদিন পর বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে। মেয়ের কণ্ঠ নকল করে অভিনয় করে এক ছেলেকে দেশে নিয়ে যায়। গোপনে পার্কে দেখা করার কথা বলে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এমনকি জিন্সের পেনটি পর্যন্ত খুলে নেয়। অসহায় বিয়াকুফ জামাই শান্তনা খুঁজে, “যাক বাবা , জাইঙ্গাটাতো নেয় নাই, একটু হলেও দয়া মায়া আছে। ”
আরেক মেয়ে অনেক দিন এক চৌকস ছেলেকে প্রেমের ভান করে পটায়। অনলাইনে প্রেম, অনলাইনেই সব। মেয়ে তার সৌন্দর্য দেখিয়ে আকর্ষণ করে। প্রচুর স্বর্ণালংকার দিয়ে একপর্যায়ে ছেলেটি টেলিফোনে বিয়ে করে। বিয়ের পর কাবিনের টাকার জন্য ঘ্যানর ঘ্যানর শুরু করে। তারপর, নিজের ভিটায় ঘর তুলবে তাই টাকা দরকার। অনেক আলাপ আলোচনার পর ছেলেটি ঘর তোলার জন্য নতুন বউকে প্রাথমিকভাবে ১৫ লক্ষ টাকা দেয়। কয়েকদিন পর মা চরম অসুস্থ,অপারেশন লাগবে বলে আবার টাকা নেয়। কয়েকদিন পর বউয়ের ভাইয়ের ব্যবসায়িক সমস্যা, শালীর ছেলে মালয়শিয়া যাবে ইত্যাদি বিভিন্নখাতে অর্থ দাবি করে। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সহজ সরল ছেলে তার নব বধূকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে। বিয়ের পরপরই স্বামীকে তালাক দিয়ে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার পেশা। কেউ স্বেচ্ছায় না দিতে চাইলে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। মামলা দিয়ে করেন হয়রানি।
অবশেষে সুপ্রভাত সিডনিতে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে। পরে জানা যায়, এ মেয়ে এর আগেও অনেকগুলো প্রবাসীকে এভাবে বিয়ের ফাঁদে ফেলে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। এলাকায় পাড়া প্রতিবেশীর কাছ থেকে ওই মেয়ের আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
এ ধরনের অনেক লাফাঙ্গা মেয়ে আছে, এটাই তাদের সহজ ভাবে তাড়াতড়ি ধনী হবার রাস্তা। তাই, প্রবাসীদের উচিত ভালোভাবে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সা:) যেভাবে বলেছেন -ঠিক সেভাবে এগিয়ে যাওয়া। নাহয় বিয়েতে বরকত থাকেনা, নিজে সমস্যাকে ওয়েলকাম করে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অন্যকে দোষারোপ করে কোনো ফায়দা নেই।
Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *