728 x 90

বাংলাদেশে আগুন সন্ত্রাস, আওয়ামী লীগের অবদান

এম,এ,ইউসুফ, শামীম: বাংলাদেশে বিগত ষোল বছরে সর্বত আগুন আর আগুনের প্রচলন করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। রানা প্লাজায় আগুন কোনো দুর্ঘটনা ছিলোনা। ওটা পরিকল্পিত আগুন এবং আওয়ামী রাজনীতির অংশ মাত্র। দেশের সর্বত্র একের পর এক আগুন, বাসে  আগুন, ট্রেনে আগুন, বড় বড় শপিং সেন্টারে আগুন, বড় বড় গার্মেন্টসে আগুন ইত্যাদি নিশ্চই মনে আছে। বাংলাদেশে পরিকল্পিত ও

এম,এ,ইউসুফ, শামীম: বাংলাদেশে বিগত ষোল বছরে সর্বত আগুন আর আগুনের প্রচলন করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। রানা প্লাজায় আগুন কোনো দুর্ঘটনা ছিলোনা। ওটা পরিকল্পিত আগুন এবং আওয়ামী রাজনীতির অংশ মাত্র। দেশের সর্বত্র একের পর এক আগুন, বাসে  আগুন, ট্রেনে আগুন, বড় বড় শপিং সেন্টারে আগুন, বড় বড় গার্মেন্টসে আগুন ইত্যাদি নিশ্চই মনে আছে। বাংলাদেশে পরিকল্পিত ও সূক্ষ্মভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার এখনো তার দোসররা চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশে যখনই আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীদের বিচারের নথি তলব করা হয়েছে, ঠিক সে মুহূর্তে সচিবালয়ে আগুন দিয়ে আবারো প্রমান করলো, ভারতী সন্ত্রাসীরা এখনো দেশের সর্বত্র বহাল তবিয়তে আছে। প্রফেসর ইউনুস সরকার প্রতিশোধ পরায়ণ নয় একটু সুযোগ দেয়াতে সেটাকে দুর্বলতা মনে করে বিয়াকুপলীগ সচিবালয়ে আগুন দিল -আগুন দাতাদেরকে ধরতে কোনো রকেট সাইন্স পড়তে হবেনা, বিদেশ থেকে ফরেনসিক ভাড়া করতে হবে না। দেশপ্রেমী আল্লাহর প্রতি ভয় আছে এমন একজন ভালো পুলিশ অফিসার এ দায়িত্ব পেলে শীঘ্র সকল আগুনদাতা শয়তানগুলো  বিচারের সম্মুখীন হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

পতিত অপশক্তি তাদের দোসররা সারাদেশে ভিন্ন একটি ধারার রাজনীতি শুরু করেছিলো। তাদের লক্ষ্য- দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্রকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করে তোলা। ক্ষমতায়  থেকেও  পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, জঙ্গিবাদের ঠিকানা আওয়ামীলীগ দেশ বিরোধী কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

বাংলাদেশ আবার অর্থনৈতিক মন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বের কারণে দেশের অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকলে খুব শীঘ্র দেশ আবারো ঘুরে দাঁড়াবে -যা ভারত বা আওয়ামীলীগ চায়না। এ ধারা নষ্ট করার জন্যই আওমীলীগ তৎপর আছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। কিন্তু আওয়ামী সন্ত্রাসী  দল কখনই জনগণকে শান্তি দিতে পারে নাই, শান্তি দিতেও চায়না।

সরকার সমস্ত আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে এখনই বদ্ধপরিকর হওয়া জরুরি। যারা আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে, এরা দুষ্কৃতকারী আর আগুন সন্ত্রাসের যারা নির্দেশদাতা-হুকুমদাতা-অর্থদাতা, এরাও অপরাধী। সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। সাধারণ মানুষের গাড়ি-বাড়ী  পুড়িয়েছে , সাধারণ মানুষকে পুড়িয়েছে , সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে , পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে , হাসপাতালে আগুন দিয়েছে , তাদের বিরুদ্ধে সরকার  নিশ্চুপ থাকবেনা, জনগণও চুপ থাকবেনা।

আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারী-দুষ্কৃতকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এসব দুষ্কৃতিকারীকে কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে দাঁড়াবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ওত পেতে বসে রয়েছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা লুটতে। সেজন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারত প্রেমীরা চায় বিএনপি ও জামাতের ভিতর কৌশলে ভুল বুঝা বুঝির সৃষ্টি করা, যা তারা কিছুটা সক্ষম হয়েছে।

প্রফেসর ইউনূসের অযোগ্যতা নিয়ে বানোয়াট প্রচারে তারা কিছুটা সফল হয়েছে। সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম ভুয়া অভিযোগ আমাদের আবেগী মানুষকে কিছুটা পথভ্রুষ্ট বা বিপথগামী করেছে। বিএনপি -জামাত ও সমন্বয়কদের বাদ দিলে কারা ক্ষমতায় যাবে ?

Read More

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

সর্বশেষ পোস্ট

Advertising